গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও ভারতের ডিষ্ট্রিক্ট ম্যাজিট্রেট (ডিএম) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিলংয়ের পাইন উড হোটেলের কনফারেন্স রুমে মেঘালয় রাজ্যের ইষ্ট খাসি হিলস’র জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) এম ওয়ার নংব্রির সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিপক্ষীয় সম্মলনে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বন্ধ করে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদক ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, সীমান্ত পিলার নির্মাণের পাশাপাশি তামাবিল স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে কালভার্টের প্রশস্তকরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়াও শিলং এর তীর নামক জুয়া খেলার ভয়াবহতা নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়। একই সাথে কলমাকান্দা উপজেলার রামনাথপুরে স্থল বন্দর নির্মাণসহ সম্ভাবনাময় সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন ও বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানিয়েছেন।
বিদ্যমান বর্ডার হাটগুলোকে আরো সক্রিয় করা এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষই একসাথে কাজ করার প্রয়াস ব্যক্ত করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের নেতৃত্বে অংশ নেন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাষ্টমস ও নারকোটিক্স বিভাগের ৫২ জন কর্মকর্তা।
ভারতের পক্ষে মেঘালয় রাজ্যের ইষ্ট খাসি হিলস’র জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) এম ওয়ার নংব্রির নেতৃত্বে ৭ টি জেলার জেলা ম্যাজিট্রেট, পুলিশ সুপার, কাষ্টমস, ভূমি জরিপ, বিএসএফসহ ৩১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ডিসি-ডিএম সম্মলনে যোগ দিতে গত সোমবার সাত জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সরকারের ৫২ সদস্যের এক প্রতিনিধি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের শিলংয়ে যান। সম্মেলন শেষে আজ বুধবার দেশে ফিরবেন তারা।