দিরাই’র মধুরাপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

13

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গ্রামের আধিপত্য বিস্তার ও জলমহালের তহবিলকে কেন্দ্র করে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত ঘরবাড়ী ও মালামাল ভাংচুর হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আরম্ভ হয়ে সন্ধ্যায় পর্যন্ত থেমে থেমে গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষ মোসাহিদ চৌধুরী, আমজাদ, উমর আলী গং ও ইউপি সদস্য খোরশেদ, দিলহক, জব্বার গংদের মধ্যে সংঘর্ষে চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মধুরাপুর গ্রামের জলমহাল ও গ্রামের তহবিল তছরুপের অভিযোগ করেন গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষ। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পঞ্চায়েত পক্ষ মোসাহিদ চৌধুরী গং অপর পক্ষ ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, দিলহক গংদের লোকজনদের এলাকায় একঘরে করে রাখা হয়।
দিলহক ও খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের লোকজন প্রায় ১৫ দিন যাবত একঘরে হয়ে আছি আমরা বাজারে যেতে পারিনা চলাচল করতে পারি না আজ বাজারে গেলে আমাদেরকে নিষেধ বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয় এ নিয়ে মোসাহেদ চৌধুরী গং আমাদের পক্ষের লোকজনদের উপর হামলা করে এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের বাড়িতে হামলা করে ঘরবাড়ী ভাংচুর সহ আমাদের প্রায় ২৫/৩০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন নুরুল হক ( ৩৫), জলিল (৫০), কবির (৪৮) নুরুল হক (৫০), ফখরুল ( ২২) নুর সাহেদ (৫৫), আজিজুর (৫৫),তানজিম মিয়া (৬০), নুরুল আমিন ২৫), আব্দুর রউফ (৫২), ছেলে রাজু (২৬) , মাজু (২৫) ছবির (৩৫) কবির (৪০), জামাল উদ্দিন (৪০) ঈমান আলী (৪৫) সুজেল (২২) ছায়াতুন বেগম ৪৫) গং। পঞ্চায়েত পক্ষের রুমন মিয়া বলেন দিলহক, খোরশেদ মেম্বার, আব্দুল জলিল, জব্বার গংদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ সামান্য কিছু হলেই সালিশের নামে জরিমানা করে গ্রামের মধ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। তারা গ্রামের তহবিলের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে এর কোনো হিসাব না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এখন গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে এক হয়েছে এবং আর যাতে এরা নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে হয়রানি না করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামের ফান্ডের তছরুপ করতে না পারে তাদেরকে ক্যাশিয়ার থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে তারা উত্তেজিত। আজ তারা বাজারে আসে এবং আমাদের এক দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি করে এই নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের প্রায় ২০/২৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন সুজন মিয়া (৪২) কাশেম (৩২), মফিল (৪০), জামাল (২৬) সাবাজ নুর (৫০) সাহিদ ২৬) সুনু (২৫), আতিবুল (২৮) আরাফাত (১৫), দিলহক (২৪), আব্দুল হক (৩০), লায়েক মিয়া (৫০), জাহান (৩০) সুমন (২৬) গং। উভয় পক্ষের আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম বলেন ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।