কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জেরে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীকে হত্যার ষড়যন্ত্রসহ হুমকি দেয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করায় আমাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। সর্বশেষ আইএসের নামে আমার বাসায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাই আমি আদালতে এসেছি মামলা করতে। আদালত এ বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আদেশ দেয়নি।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলো, বিএনপির উপদেষ্টা আমান উলাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
বাদী তার মামলার অভিযোগে বলেন, গত ২৩ জুলাই তার বাসায় একটি রেজিষ্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা।
চিঠিতে উলেখ্ করা হয়েছে, ‘ওই শালারপুত গোপালী এ বি সিদ্দিকী বিশ্ব মামলাবাজ তুই বড় বাড়াবাড়ি করছিস। তোর বোন শেখ হাসিনার দাপট দেখাচ্ছিস। তোর মামলায় আমার জীবন নষ্ট হয়েছে। আর আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছিস। আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক।’
এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল তোকে খুন করার জন্য। তাই আমাদের নেতারা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ছাত্রদলের ক্যাডার তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ব্যক্তি এমদাদুল হককে তার বাহিনী নিয়ে তোকে কোর্টকাচারির আশপাশে খুন করার জন্য আটক করেছিল। কিন্তু বংশাল থানার আশপাশে থাকায় এবং কাকুতি মিনতি করায় তারা তোকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তুই আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো ছিনতাই মামলা দিয়েছিস। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে আইএসসহ আমাকে পাঠিয়েছে। এবার আর তোরে কেউ বাঁচাতে পারবে না। প্রস্তুত হয়ে থাক।
এ বিষয়ে এবি সিদ্দিকী বলেন, পরের দিন সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। আসামিরা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রসহ হুমকি দেয়ার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ১০৯/৫০৬ ধারায় মামলা করেছি। আদালতের কাছে অপরাধ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি।