ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বরিস জনসন

17

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা বরিস জনসন। বুধবার আনুষ্ঠানিক তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে শেষবারের মতো সংসদে এমপিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
কনজারভেটিভ পার্টির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোটে মঙ্গলবার দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন। তিনি ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সংসদে বুধবার মে বলেন, তিনি সংসদের একজন সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আর বরিস জনসনের মতো একজনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুশি। যিনি যথাসময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) এবং দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্ট নিজের শেষ প্রশ্ন-উত্তর পর্বেও মে’কে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ‘সরকারী দায়িত্বের প্রতি মে যে সম্মান দেখিয়েছেন’ তার প্রশংসা করেন। তবে একইসঙ্গে তিনি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যর্থতা, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি ব্রেক্সিট ব্যর্থতার কারণে মের সমালোচনাও করেন। ‘ব্রেক্সিট নিয়ে তার উত্তরসূরির বেপরোয়া পরিকল্পনায়’ সমর্থন দেয়ার জন্যও মে’র সমালোচনা করেন করবিন। জাবাবে মে বলেন, ‘মোদ্দা কথা বলতে গেলে রাজনীতি শুধু গুরুত্বপূর্ণ নথিতে ঠাসা বাক্সের অদল-বদল নয় বা বড় বড় ভাষণ কিংবা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হওয়া নয়। ‘বরং দেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের উত্থান-পতনে আমরা কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পেরেছি, সেটিই রাজনীতি।’ মে বুধবার বিকেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পরপরই তার উত্তরসূরি জনসন বাকিংহাম প্যালেস ঘুরে এসে অসীন হন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে। প্রধানমন্ত্রী জনসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রেক্সিটের জটিল অংকের হিসাব মেলানো। জনসন অবশ্য হিসাব মিলাতে না পারলে বিকল্প পথ খোলা রেখেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এজন্য একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারলে ভাল, নতুবা কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হবে।