শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে মারধরের জেরে অভিভাবকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযেগে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভয়ে স্কুলে আসছে না শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, শনিবার সকালে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নে অবস্থিত রাজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীর মারামারি ও পরে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলার শিকার হওয়া সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হ্যাপী আক্তার জানায়, শনিবার সকালে আমি আমার ভাইকে নিয়ে রাজপাড়া স্কুলে যাই। সেখানে যাওয়ার পরপরই ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রবি মিয়া আমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টান দেয় এতে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। তারপর প্রাণ বাঁচাতে আমি তার হাত কামড়িয়ে পালিয়ে গিয়ে আমার বড়ভাইকে খবর দেই।
আহত হ্যাপী আক্তারের বড় ভাই তুহিন আহমেদ জানান, ঘটনা শোনে আমি দৌড়ে স্কুলে আসলে হামলাকারী রবি মিয়ার পরিবারের লোকজন স্কুলের শিক্ষিকাদের সামনে আমার উপর চড়াও হয়।
গতকাল রবিবার সকালে রাজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা। হামলার ঘটনায় আহত হ্যাপীর চাচা কদর আলী শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূরবী রাণী দে বলেন, বাচ্চাদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছিলো আমি প্রাথমিকভাবে উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলি কিন্তু একপক্ষ সমাধানে রাজী হলেও অপরপক্ষ রাজী হয় না। আমি বিষয়টি আমার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকেও জানিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানা জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযেগ পেয়েছি একজন উপ-পরিদর্শককে বিষয়টি তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে, তদন্তস্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জকে বলে দিয়েছি বিষয়টি দেখার জন্য। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাতে বাচ্চাদের ভেতর থেকে ভীতি দূর করা যায় এবং দ্রুত সময়ের ভেতর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।