ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে সিরাজুল ইসলাম নামের এক যুবকের লালসার শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদীপুর ইউপির গজিয়া রাজাপুর গ্রামের আছকির মিয়ার বাড়িতে। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ১৯ মাইলে ১১ বছরের আরেক কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সুমন মিয়া নামের এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারী। দুটি ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকেই পুলিশ আটক করে।
সিরাজুল ইসলামকে গত রবিবার ১০টার দিকে সাদিপুর এলাকা থেকে এবং রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমন মিয়াকে ১৯ মাইল এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে। আটককৃত সিরাজ কুড়িগ্রাম জেলার ওলিপুর উপজেলার গাবতল গ্রামের মেহের উদ্দিনের ছেলে। আটককৃত সুমন মিয়া গোয়ালাবাজার ইউপির দক্ষিণ কলারাই গ্রামের খালিছ মিয়ার ছেলে। দুটি ঘটনায় গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওসমানীনগর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদীপুর ইউপির রাজাপুর এলাকায় নির্মাণাধীন পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনে লেবার হিসেবে কর্মরত সিরাজ ও ধর্ষিত কিশোরী তার বাবা মার সাথে রাজাপুর গ্রামের আছকির মিয়া বাড়িতে পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া দিয়ে থাকত। গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কিশোরীর বাবা মা বাসায় না থাকার সুযোগে সিরাজুল ঐ কিশোরী তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকার কতিপয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের জন্য নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা থানা পুলিশের নিকট না যেতে কাল বিলম্বের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে। গত শনিবার নির্যাতিতা কিশোরীকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টর(ওসিসিতে) ভর্তি করা হলে সেখানকার পুলিশ ওসমানীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। খবর জানার সাথে সাথেই রোববার রাত ১০টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত সিরাজুল ইলমামকে আটক করা হয়।
এদিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ১৯ মাইলে একটি বাসাতে ১১ বছরের আরেক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে সুমন মিয়া নামের এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারী। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ১৯ মাইলে ঘটনাটি ঘটেছে। কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ সুমন মিয়াকে আটক করে।
পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার ৮টার দিকে একটি বাসাতে ঐ কিশোরীকে পরাটার সাথে চেতনানাশক কিছু খাবায় বখাটে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী সুমন মিয়া। এর পর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুমন তাকে ধর্ষণে চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে ফেললে সুমন পালিয়ে যায়। অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তাকে ভর্তি করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন কিশোরী দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আটককৃত দুই যুবককে গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।