তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম মো. ইকবাল হোসেন (২০)। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপার গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র। গত শনিবার দিবাগত মধ্য রাতে দীঘিরপার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপার গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র ইকবাল হোসেন ও একই গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে বিয়ের আশ^াষ দিয়ে অমতের ভিত্তিতে তার সঙ্গে কয়েকবার দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে কিশোরিটি গর্ভবতি হয়ে পরে। কিশোরী বিষয়টি ইকবাল হোসেনকে বার বার জানালেও সে তার ঘরে বউ করে তুলে নিবে বলে তার সঙ্গে কালক্ষেপন করতে থাকে। এরই মধ্যে কিশোরী শনিবার বিকেলে তার নিজ বাড়ীতে এক ছেলে সন্তান প্রসব করে। অবিবাহিত কিশোরীর ঘরে সন্তান হওয়ায় এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইতে থাকে।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইকবালের পিতা আতাউর রহমান গ্রামের কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশ বৈঠকে স্ত্রী ও সন্তানকে স্বীকৃতি না দিয়ে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে ধর্ষক ও তার পিতা। পরে কিশোরীর পিতা থানায় বিষয়টি জানালে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ধর্ষক ইকবালকে দ্রুত গ্রেফতার করে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।