কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে তার ভাই জি এম কাদের জানিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, শনিবার পর্যন্ত এরশাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। রোববার সকালে তার অবস্থা খারাপ হয়। তার ফুসফুসে পানি চলে এসেছে, দেখা দিয়েছে ইনফেকশন। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। ৯০ বছর বয়সি এরশাদ রক্তে সংক্রমণ ছাড়াও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে এরশাদকে দেখে এসে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বলেন, উন্নতি হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই তিনি সেরে উঠবেন। এরপর সকালে এরশাদের অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা জানালেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এরশাদের ওষুধ পাল্টে ইনফেকশন বন্ধের চেষ্টা চলছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পরিবার প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে সিএমএইচের চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে।’ সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগেস্নাবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে উঠেননি তিনি। অসুস্থতার জন্য এরশাদ তার দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও যোগ দিতে পারছেন না। রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হুইল চেয়ারে করে জাতীয় সংসদে শপথ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ঈদুল ফিতরের আগে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে আসেন এরশাদ। এরই মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে তাতে তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেছেন।