জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে হোসাইন মিয়া (২৭) নামের এক অটো রাইসমিল শ্রমিকের রহস্যজনক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের রোয়াব উল্লার ছেলে।
জানা গেছে, ইসলামপুর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি মাহবুব মিয়ার একটি অটো রাইসমিলে শ্রমিকের কাজ করতো হত দরিদ্র পরিবারের ছেলে হোসাইন মিয়া। তবে ২৮ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে এলাকায় জানাজানি হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিক হোসাইন মিয়ার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ, সাংবাদিক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শতশত শোকার্ত জনতা হতভাগ্য হোসাইন মিয়াকে শেষ বারের মতো দেখতে মিলের মালিক মাহবুব মিয়ার বাড়িতে ভীড় জমান।
সরজমিনে দেখা যায়, নিহত হোসাইন মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এছাড়া যেখানে হোসাইনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে একটি টাউজার পাওয়া যায়। তখন টাউজারটি মিলের আরেক শ্রমিক বিকাশের বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন। এ সময় নিহত হোসাইন মিয়ার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে মাহবুব মিয়া একা হোসাইনের লাশটি এনে আমাদের বাড়ির পাশে রাস্তায় রেখে ডাক্তার নিয়ে আসার কথা বলে চলে যান। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় হোসাইনের লাশটি জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে মাহবুব মিয়ার মিলের বিকাশ সহ ২ জন শ্রমিক পালিয়ে গেছেন। তারা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন সহ দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এরিয়ে গিয়ে মিলের মালিক মাহবুব মিয়া বলেন, এ বিষয়ে অন্য সাংবাদিকের সাথে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভয় পেয়ে মিলের অন্য ২ শ্রমিক পালিয়েছিল।