ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
পাকিস্তানকে হারানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলো আফগানিস্তান। জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরী করেও, হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। হেডিংলিতে নাটকীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৩ উইকেটে হারতে হয়েছে আফগানিস্তানকে।
প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান করছিল ৯ উইকেটে ২২৭। অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন আফগানরা। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি তাদের।
অথচ একসময় কঠিন সমীকরণ ছিল পাকিস্তানের সামনে। ৬০ বলে দরকার ছিল ৭১ রান। হাতে মাত্র চার উইকেট, তাও নিচের দিকের ব্যাটসম্যান তারা। কিন্তু ইমাদ ওয়াসিম-শাবাব খানের ৫০ রানের জুটি আফগানদের স্বপ্ন বির্বণ করে দেয়।
১১ রানে শাবাব রান আউট হলে ম্যাচে আবার নাটকীয়তার জন্ম নেয়। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ১৬ রান। হাতে ৩ উইকেট।
৪৯তম ওভার করেন রশিদ খান। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ওয়াহাব রিয়াজ। সমীকরণ সহজ হয়ে যায়। শেষমেষ ২ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ওঠে গেল পাকিস্তান। ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট তাদের।এই নিয়ে টানা ৮ ম্যাচে হারতে হলো আফগানিস্তানকে।
লীডসে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। দলীয় ২৭ রানে বিদায় নেন ওপেনার গুলবাদিন নাইব। ব্যক্তিগত ১৫ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার রহমত শাহ ৪৩ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৫ রান। তিন নম্বরে নামা হাসমতউল্লাহ শহিদি প্রথম বলেই বিদায় নেন। পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইকরাম আলি ৬৬ বলে করেন ২৪ রান।
অভিজ্ঞ আসগর আফগানের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর দুটি ছক্কার মার। মোহাম্মদ নবী ১৬ রানে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৪৫তম ওভারে বিদায় নেন তিনি। তার আগে ৫৪ বলে ছয়টি বাউন্ডারিতে করেন ৪২ রান। রশিদ খান ফেরেন ৮ রান করে। হামিদ হাসান করেন ১ রান। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ১৯ এবং মুজিব উর রহমান ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ১০ ওভারে ৪৮ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। শাদাব খান ১০ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে পান একটি উইকেট। মোহাম্মদ হাফিজ ২ ওভারে ১০ রানে উইকেটশূন্য থাকেন। ওয়াহাব রিয়াজ ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট। মোহাম্মদ আমির ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
২২৮ রানের ছোট লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না পাকিস্তানেরও। ০ রানে বিদায় নেন ওপেনার ফখর জামান। এরপর অবশ্য বাবর আজম ও ইমাম উল হকের ব্যাটে আশা দেখে পাকিস্তান। কিন্তু এ জুটির বিদায়ের পর বিপদে পড়ে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিনরা। অবশেষে সব নাটকীয়তা অতিক্রম করে ২ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।