সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, পরিবহণ মানুষের সেবার জন্যে। মানুষকে জিম্মি করার জন্যে নয়। আর ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ এসব তোয়াক্কা করেনা।
পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধ, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির বাস সহ উন্নতমানের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের দাবিতে সুনামগঞ্জবাসীর চলমান আন্দোলনে সিলেটবাসীর সংহতি মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে বুধবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণে এ সংহতি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরকে দাবি-দাওয়া-সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, যুগোপযোগী যানবাহন নিয়ে বিআরটিসির সাথে প্রতিযোগিতায় নামুন। যথাযথ সেবা দিতে পারলে মানুষ গ্রহণ করবে। আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, কথায় কথায় ধর্মঘট ডেকে মানুষকে জিম্মি করতে থাকলে জনবিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। ইতোমধ্যে এর লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাই ২৪ জুনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার টেবিলে আসুন।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক অভিধান থেকে ‘হরতাল’ শব্দটি মুছে ফেলেছে। এবার মুছবে ‘ধর্মঘট’ শব্দটি। আর এ জন্যে যে প্রক্রিয়ার প্রয়োজন সেটা সিলেট থেকেই শুরু হবে।
অন্যান্য বক্তা বলেন, বিআরটিসির বাস জনগণের সম্পদ। জনগণের জন্যে রাস্তায় নামবে। এতে বাঁধা দেয়ার অধিকার কারো নেই।
বক্তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে উন্নত মানের বাস চলাচল নিশ্চিত করা, যাত্রীদের সাথে চালক-সহকারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করা ও যাত্রীসেবার মান উন্নত করার দাবি জানান।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু সংখ্যক অর্থলোভী মালিক-শ্রমিক সাধারণ নীরিহ মালিক-শ্রমিককে জিম্মি করে রেখেছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও নাট্য সংগঠক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তৃতা করেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মো আরিফ মিয়া, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী, জেলা সিপিবি নেতা নিরঞ্জন দাস খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, বিএনপির সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ, সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুর রহমান, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, ফটো সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, লেখক বশির আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি