স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ পর্যন্ত আশংকাটাই সত্য হলো। মঙ্গলবার বৃষ্টিতে ভেসে গেল বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেল। ১ পয়েন্ট পেল টাইগাররা। আরেক পয়েন্ট গেল শ্রীলংকার ঝুলিতে। স্বভাবতই উপকৃত হলো লংকানরা। তবে কঠিন সমীকরণের মুখে পড়লো মাশরাফি-সাকিবরা।
শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ে ২ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। আর সবশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয় তারা, হারে ১০৬ রানে। ফলে ৩ ম্যাচ খেলে মাশরাফি-সাকিবদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ পয়েন্ট।
স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলংকার মোকাবেলায় কোমর কষে প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ। চোখ ছিল শুধু জয়ে। কিন্তু আশায় গুঁড়েবালি। শেষ পর্যন্ত ব্রিস্টলে সূর্যের আলো ফুটলো না। অবিরত অঝোর ধারায় ঝরলো বৃষ্টি। দুই দলের খেলা হলো পরিত্যক্ত।
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত আছে ২ পয়েন্ট। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৩। ফলে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। আজকের ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় বাকি ম্যাচগুলো হয়ে গেল প্রায় নকআউটের সমান। এখন হাতে থাকা ৫ ম্যাচের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিততে হবে মাশরাফিদের। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেমিতে খেলার স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে যাবে মাশরাফি বাহিনীর। এছাড়া চোখ রাখতে হবে বাকি দলগুলোর ম্যাচের ফলাফলের ওপরেও। এক্ষেত্রে নেট রান রেটও বড় ভূমিকা পালন করবে।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর ৫ দিনের বিরতি পাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। এরপর ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ জুলাই লড়বেন মাশরাফি-সাকিবরা। এখন দেখার বিষয়, সামনে বাধাগুলো কিভাবে অতিক্রম করেন তারা।