পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
গত ২ দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ধলাই নদীর পুরাতন ভাঙ্গনকৃত স্থান দিয়ে পানি বেরিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন, ইসলামপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি ও প্রায় দেড় হাজার একরের আউশ ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল, ছড়া ও জলাশয় সমুহ পানিতে ভরপুর হয়ে উঠে। টানা বর্ষণের ফলে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও ধলাই নদীর পুরাতন ভাঙন এলাকা দিয়ে পানি নেমে মাঠ, ঘাট, গ্রাম্য রাস্তা ও নিম্নাঞ্চলের পতনঊষার, ইসলামপুর ও পৌরসভার প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি পানিবন্দী হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার একরের আউশ ক্ষেত নিমজ্জিত হলেও শনিবার পর্যন্ত উঁচু এলাকার পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোপিত আউশ ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় শমসেরনগরের ভরতপুর, রঘুনাথপুর, নিত্যানন্দপুর, সতিঝিরগ্রাম, কেছুলুটি ও পতনউষার ইউনিয়নের মাইজগাঁও, পতনঊষার, ধুপাটিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের কিছু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক মৎস্য খামার তলিয়ে গেছে। ফলে খামারের মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক শওকত আলী, খালিক মিয়া, কনু মিয়া, শেরওয়ান আলী বলেন, একদিনের বৃষ্টিপাতেই বন্যায় হয়েছে। বন্যায় রোপিত আউশ ক্ষেত, পুকুর তলিয়ে অনেক মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া গ্রাম্য রাস্তাঘাট তলিয়ে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা কৃষ্ণ সিংহ বলেন, বর্ষণের পানিতে উপজেলার রোপিত ৮শ’ হেক্টও আউশ ক্ষেত নিমজ্জিত হলেও উপরে পানি নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পতনঊষারসহ নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে সেখানে কিছু ক্ষেত নিমজ্জিত হচ্ছে। পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নারায়ণ মল্লিক বলেন, বন্যার পানিতে ইউনিয়নের মাইগাঁও, পতনঊষার ও নোয়াগাও গ্রামের ত্রিশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, উপরে পানি কমছে তবে নি¤œাঞ্চলে পানি বাড়লেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।