স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। হামলার পর অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। এতে পন্ড হয়ে যায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নগরীর অদূরের আলী বাহার চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। মদন মোহন কলেজের তারাপুর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো।
আয়োজকরা জানান, মদন মোহন কলেজের তারাপুর ক্যাম্পাসের একাউন্ট ও ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অদূরে আলী বাহার চা বাগানের বাংলোয় বৃহস্পতিবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকাল থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে অনুষ্ঠানে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ৩০/৩৫ জনের একটি গ্রুপ। মিছিল নিয়ে তারা অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। অনুষ্ঠানের মঞ্চ, চেয়ার, সাউন্ড বক্সসহ চা বাগানোর বাংলোও ভাংচুর করে তারা। এ সময় পঙ্কজ ও তামান্না নামে ২ শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। হামলায় ৪/৫ জন আহত হন। হামলা ও ভাংচুরের ফলে পন্ড হয়ে যায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
জানা গেছে, নগরীর অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মদন মোহন কলেজের লামাবাজার ও তারাপুরে দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। লামাবাজারের ক্যাম্পাসটিই মূল ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে তারাপুর ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতারাও সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে লামাবাজ ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতাদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতেই ক্ষুব্দ হয়ে লামাবাজ ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতারা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ জড়িত ছিলো। ছাত্রলীগের আরেক পক্ষকে দাওয়াত না দেওয়ায় তারা হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আয়োজকরা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
তবে হামলার সাথে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সানি বলেন, কলেজের মূল ক্যাম্পাসে (লামাবাজার) বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলছে। ছাত্রলীগের সবাই এখানে রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের দিকে কেউ যায়নি। ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
কলেজের তারাপুর ক্যাম্পাসের ইনচার্জ অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার দাশ বলেন, ছাত্ররা আমাদের অনুমতি নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। শুনেছি গাড়ি পার্কিং নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।