১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিলেট সদর হাসপাতালে (বর্তমান শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ) কর্তব্যরত অবস্থায় হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারানো শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান ও এ্যাম্বুলেন্স চালক কোরবান আলীকে স্মরণ করেছেন সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার নাগরিক মৈত্রী, সিলেটের উদ্যোগে চৌহাট্টাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নগরে শোকর্যালি বের করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেট সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। সিলেটে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রথম বর্বর এই হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারান ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা ও তাদের কয়েকজন সহকর্মী।
প্রতিবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শোকাবহ এই দিবসটি উদযাপন করে নাগরিক মৈত্রী। এবারও নাগরিক মৈত্রী সিলেটের আহবায়ক সময় বিজয় সী শেখর এডভোকেটের উদ্যোগে বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিলেটের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শোকর্যালিতে শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সমাজসেবী ডা. নাজরা চৌধুরী, শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের ভাগ্নি ফরিদা নাসরিন, কিডনী ফাউন্ডেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম কিবরিয়া, এডভোকেট মামুন রশীদ, ইমজা সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মন্জু, সফটওয়্যার প্রকৌশলী মিসবাহ উদ্দিন, মদন মোহন কলেজের প্রভাষক রাজিব চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুর রহমান সেলিম, নিয়ামুল ওয়াহাব চৌধুরী, কিডনী ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান রাসেল, ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি