কাজিরবাজার ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার পর সামরিক ধরনের সেমি-অটোমেটিক ও অ্যাসাল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কঠোর নতুন বন্দুক আইনের অধীনে এসব অস্ত্র নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন জানিয়েছেন।
আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে নতুন আইনটি কার্যকর হবে এবং নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলোর জন্য ‘কিনে ফেরত নেওয়া’ স্কিম প্রতিষ্ঠিত হবে, এমনটি প্রত্যাশা করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। অ’ডুর্ন বলেন, এখন, হামলার ছয় দিন পর, আমরা সবরকমের সামরিক ধরনের সেমি-অটোমেটিক (এমএসএসএ) ও অ্যাসাল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।
সবরকম উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিনের পাশাপাশি এসব বন্দুককে এমএসএসএ পরিণত করতে ব্যবহার করা পার্টসও নিষিদ্ধ হচ্ছে। আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে এ ধরনের অস্ত্র কেনা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের হিসাবে ‘কিনে ফেরত নেওয়া’ স্কিমে ১০ থেকে ২০ কোটি নিউজিল্যান্ড ডলার খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার দেশটির ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় সেমি-অটোমেটিক ও অ্যাসাল্ট রাইফেল দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অর্ধশত মানুষকে হত্যা করে অস্ট্রেলীয় শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গি ব্রেন্টন ট্যারান্ট (২৮) । গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে সন্দেহভাজন এই খুনির বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।