ছাতকে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা

22

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী উঠানো নিয়ে দু’বাস কাউন্টারের শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির জের ধরে এজেন্ট পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলার বাদি একে অন্যকে প্রধান আসামি করেছে। ১২ মার্চ বাগবাড়ি এলাকার মৃত আবদুল আজিজ চৌধুরির পুত্র মাসুক মিয়া চৌধুরি বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত উন্দা মিয়া চৌধুরির পুত্র ছালিক চৌধুরি রোকনকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে এবং ৭ মার্চ ছালিক চৌধুরি রোকন বাদি হয়ে মাসুক মিয়া চৌধুরিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মাসুক মিয়া চৌধুরির দায়েরি অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাসুক মিয়া চৌধুরির চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া চৌধুরির নিয়ন্ত্রণাধীন কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট ও ছালিক চৌধুরি রোকনের নিয়ন্ত্রণাধীন সততা পরিবহন পাশাপাশি স্থান থেকে একই সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ছাতক থেকে দূরপাল্লায় ছেড়ে যায়। ৩ মার্চ যাত্রী উঠানো নিয়ে দু’বাসের হেলপারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারে এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় মাসুক মিয়া চৌধুরি, তার ভাগনা জুবায়ের ও পুত্র সাগর আহত হয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মধ্যস্থতায় সালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। ৪ মার্চ রাতে বাগবাড়ি ফারুক মিয়া চৌধুরির বাস ভবনের আঙ্গিনায় সালিশ-বৈঠক চলা অবস্থায় আবারো ছালিক চৌধুরি রোকন পক্ষের লোকজনের পরিকল্পিত হামলায় মাসুক মিয়া চৌধুরিসহ শাহীন চৌধুরি, সাকিব চৌধুরি আহত হয়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাদি মাসুক মিয়া চৌধুরির অভিযোগ আসামিরা আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যেই চলাফেরা করছে।