বাংলাদেশে এলপিজির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন লাফ্স গ্যাসের চেয়ারম্যান ডব্লিউ কে এইচ ওয়েগাপিতিয়া। তিনি বলেন, বাজারের যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায় সম্ভাবনা আছে, কিন্তু তা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে বাজার বুদ্বুদের মতো ফেটে ধসে যেতে পারে। ।
শিল্পের মৌলিক শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে ওয়েগাপিতিয়া মনে করেন, বাংলাদেশের বাজার এখনো শিশু অবস্থায় আছে। এলপিজি ব্যবসায় কিছু স্তর আছে। তাঁর মতে, প্রথমত এই শিল্পের মূল উদ্যোক্তাদের খাতের হালচাল বুঝতে হবে। তা না হলে এই উদ্যোক্তাদের হাতেই বাজারের মৃত্যু হবে। আশঙ্কার কথা হলো, তিনি বলেন, এই বাজার পতনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কারণ, এখানে প্রচুর মুনাফা হবে—এই আশায় বাজারে প্রচুর উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করতে আসছেন। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন হবে না।
ওয়েগাপিতিয়া বলেন, যাঁরা স্বল্প মেয়াদে মুনাফার জন্য এলপিজির বাজারে আসছেন, তাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে মার খাবেন। সব পক্ষকে একত্রে কাজ করতে হবে। দায়িত্বশীল মানুষদের এই খাতের স্বাস্থ্যকর বিকাশের কথা ভাবতে হবে। আজকের জন্য নয়, তাঁদের আগামীকালের জন্য মুনাফা খুঁজতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এলপিজির চাহিদা বছরে তিন লাখ মেট্রিক টন থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ব্যাপারটা ভালো। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চাহিদা যে এই হারে বাড়বে, তা হলফ করে বলা যাবে না। তাই এই খাতের উদ্যোক্তাদের অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
দেশে সাড়ে তিন বছর আগে লাফ্স গ্যাস এলপিজির ব্যবসা শুরু হয়েছে জানিয়ে ওয়েগাপিতিয়া বলেন, তাঁদের কোম্পানি এখন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। একই সঙ্গে বিপণন চ্যানেল তৈরি করছে। ব্যবস্থাপনা উন্নত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাড়াহুড়া নেই। ধীরেসুস্থে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
ওয়েগাপিতিয়া বলেন, ‘আমরা শুধু বাংলাদেশে নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারত মহাসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিনিয়োগ করছি। শ্রীলঙ্কায় এলপিজির বৃহত্তম আমদানি ও রপ্তানি টার্মিনাল করেছি আমরা।’ টেকসই উন্নয়নের জন্য সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হবে।