মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ‘আইনের শাসন ও সুশাসন’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি ক্যাম্পাসে অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই জাতীয় সম্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম. মিজানুর রহমান।
কয়েকটি সেশনে বিভক্ত এই জাতীয় সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের ১৭টি এবং শিক্ষার্থীদের ১২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপর আমরা আস্থা রাখি। কিন্তু কখনো কখনো রাষ্ট্রই নানাভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন যথাযথ আইনের শাসন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মুখে আইনের কথা বলবো, কিন্তু বাস্তবে আইনের শাসন বলে কিছু থাকবে না, এটা হয় না, হতে পারে না। যেখানে আইনের শাসন থাকে, সেখানে মানুষকে নির্যাতিত হতে হয় না।’
ড. মিজান বলেন, ‘বাংলাদেশকে এখন অনেকেই উন্নয়নের রোল মডেল বলেন। এই রোল মডেল হওয়া ভালো। কিন্তু আমাদের বাচ্চারা যখন ঘর থেকে বাইরে যায়, তখন সে নিরাপদে ফিরবে কিনা, তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় থাকি। স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমাদের বাবা-মায়েরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না। এটা হওয়ার কথা ছিল না, হওয়ার কথা নয়।’
বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত তাবাসসুমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম রবিউল হোসেন, আইন ও বিচার বিভাগের অধ্যাপক ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান এবং ড. মিজানুর রহমানের কর্মজীবনে আলোকপাত করেন প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক চৌধুরী মো. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস, পরিচালক (প্রশাসন) তারেক ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে ‘গুড গভর্নেন্স’, ‘রুল অব ল’, ‘এন্টারপ্রিনারশিপ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলাপমেন্ট’, ‘লিগ্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট’ এবং ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট’ প্রভৃতি বিষয়ে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন বিশেষজ্ঞরা। বিজ্ঞপ্তি
