সুবিধা বুঝে বিএনপি নির্বাচন করে – ওবায়দুল কাদের

37

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ২০০১ সালের ঢাকা সিটি নির্বাচনের চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে সাদেক হোসেন খোকা যে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, তার চেয়ে ভালো ভোট হয়েছে। ভোটের দিন এমনিতেই ছুটির দিন ছিল। অনেক ভোটার ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে, বড় একটি দল অংশ নেয়নি, দিনের শুরু থেকে বৃষ্টির বাগড়া ছিল। এ ছাড়া এটা একটি উপনির্বাচন। সব মিলিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। ২০০১ সালে ১০ ভাগ ভোট নিয়ে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার এত কিছুর পরেও তুলনামূলক উপস্থিতি অনেক বেশি।
‘চার বছর পর এই উপনির্বাচন। এটা পরিপূর্ণ কোনো নির্বাচন নয়। এসব কিছু বিবেচনা করতে হবে। যারা এটা নিয়ে সমালোচনা করেন, তাদের বলব, ২০০১ সালে ঢাকা সিটি ইলেকশনে একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, সাদেক হোসেন খোকা। তখন তো সেটা একেবারেই ভোটশূন্য নির্বাচন ছিল। ভোটকেন্দ্রে মানুষ ভোটার দেখেনি। তারপরও ভোটে এগিয়ে ছিলেন।’
শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা কাদের বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলর পদে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত করে দিলে এখানে একটা মারামারির পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেটা কিন্তু হয়নি। ইলেকশনটা মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এখানে বড় একটি দল জয়েন করেনি। তা ছাড়া বৈরী আবহাওয়া ছিল, ছুটির কারণে অনেকেই বাড়িতে চলে গেছেন।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে তো জোর করে ইলেকশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তারা নিজেরাই নির্বাচনে আসেনি। এখন তারা না এসে সমালোচনা করলে তো হবে না। তারা নিজেরা এসে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করত তাহলে একটা কথা ছিল। বিএনপির যারা এই সমালোচনা করেন, তাদের আমি বলতে চাই, আপনাদের কি মনে আছে, ২০০১ সালে এই সিটিতে মেয়র কীভাবে নির্বাচিত হয়েছিল? কতজন ভোট দিতে এসেছিল?’
বিএনপির ভোটে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সুবিধা বুঝে বিএনপি নির্বাচন করে। এর আগে তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তখন চারটি সিটি করপোরেশনে তারা জিতেছিল। তাতে তো আকাশ ভেঙে পড়েনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি জোয়ার-ভাটার মতো। আজ আমরা আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। একটি রাজনৈতিক দল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে, এমন অহংবোধ থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে একের পর এক নির্বাচন বয়কট করা শুরু করেছে, তাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাওয়া, মোটেই গণতান্ত্রিক পথ নয়। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও নেতাকর্মীরা কিন্তু অংশ নিচ্ছে। অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কার করা হলেও মাঠের কর্মীরা থেমে নেই।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।