রোগ হিসেবে যার বয়স হাজার বছরের, প্রসার-প্রতিপতিত্বে গজেন্দ্রগামী, আহ্বায়ক অনেক অসংক্রামকের, মহামারী আকারে যার বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা বিশ্বকে তাকে চিনতে-জানতে, নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের নাকি এখনই সময়। সেই সর্বনাশা শত্র“রূপী রোগটির নাম ডায়াবেটিস। যুগে যুগে, দেশে দেশে তার হরেক নাম- মধুমেহ, বহুমূত্র, ডায়াবেটিস মেলিশাস, এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস। গোটা বিশ্বে এখন প্রতি ৮ সেকেন্ডে একজন করে ডায়াবেটিক রোগী মারা যাচ্ছে- এই ভয়াবহ সংবাদ ভাবিয়ে তুলছে মানুষকে। নীরব ঘাতক স্বভাবের ডায়াবেটিক রোগটি এমনিতেই দেহে বহু ব্যাধির (চোখ, হার্ট, কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাপক ক্ষতিসাধনে সক্ষম) আহ্বায়ক। এই রোগটির অব্যাহত অভিযাত্রায় শঙ্কিত সবাইকে এটি নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবসকে (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়।
সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস (বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠা দিবস) এর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম. এ. আহবাব।
২৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সমিতির সভা কক্ষে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ললিত মোহন নাথ এর পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাসপাতালের অফিস সহকারী মোঃ লিয়াকত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ জেড মাহবুব আহমদ।
বক্তব্য রাখেন সমিতির কার্যকরি কমটির সম্মানিত সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সমিতির সম্মানিত জীবন সদস্য হাজী নেহাল আহমদ, হাসপাতালে আগত চিকিৎসা গ্রহনকারী হাজী সোনা মিয়া প্রমুখ।
এদিকে নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে দশটা টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত “বিনামূল্যে ডায়াবেটিস সনাক্তকরণ কর্মসূচী”-র উদ্বোধন করেন সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা: এ. জেড. মাহবুব আহমদ।
এছাড়াও বেলা ১০ টায় সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরীর নেতৃত্বে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, প্রতিপাদ্য সম্বলিত ব্যানার ও প্লে-কার্ড সহকারে এক “বর্ণাঢ্য র্যালী” শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি