কাজিরবাজার ডেস্ক :
৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪০তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি। ইতোমধ্যে ৩৭তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী মাসের প্রথমার্ধে প্রথম শ্রেনি নন-ক্যাডারের ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।
মার্চের মধ্যেই ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ এপ্রিলের মধ্যেই ৩৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। একইভাবে এপ্রিলেই ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা আছে। চার বিসিএসের কার্যক্রম গুছিয়ে আনার পর ৪১তম বিসিএসের জন্য শুন্য পদের তালিকা চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, চারটি বিসিএস নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে পিএসসি। শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সবচেয়ে মেধাবীরা যাতে নিয়োগে পায় সেজন্য বিরামহীনভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পিএসসির সংশ্লিষ্টরা। এপ্রিলের পর ৪১তম বিসিএসের জন্য শুন্য পদের তালিকা চাওয়া হবে।
পিএসসির প্রতি পরীক্ষার্থীদের শতভাগ আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ৩৭তম বিসিএস নন-ক্যাডারের প্রথম দফার ফলাফল আশা করছি ১০ মার্চের মধ্যে দিতে পারবো। ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ৩৭তম বিসিএসের নন-ক্যাডার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা আছে।
২০১৮ সালের ১২ জুন ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১৩১৪ জন ক্যাডার পান। বাকি ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন ক্যাডারে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। পদ পাওয়া সাপেক্ষে তাদের নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
তালিকা অনুসারে প্রথম শ্রেণির পদের চাহিদা প্রায় ৭০০। আর দ্বিতীয় শ্রেণির পদের চাহিদা প্রায় ৩০০। এছাড়া প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের পদ আছে প্রায় আড়াই হাজার। এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, তারা যে চাহিদা পেয়েছেন, সেখানে প্রতিটি পদের বিপরীতে শর্ত আছে। শর্ত মিলে গেলেই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।