প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়নে সচিবদের নির্দেশ পরিকল্পনামন্ত্রীর

52

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়নে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একই সঙ্গে যে কোন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। রবিবার শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে (এডিপি) অগ্রগতি বাড়াতে এবং দিকনির্দেশনা দিতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে গত ৭ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, অর্ধেকের বেশি সময় পার করার পর প্রকল্পের অগ্রগতির হার ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই হার ছিল ৩৩.৩৫ শতাংশ। পর্যালোচনা সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, সচিবদের বলেছি প্রকল্প বাস্তবায়ন গতি বাড়াতে হবে। সচিবরা আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন গতি বাড়াতেই হবে। এক প্রকল্পে একাধিক পিডি (প্রকল্প পরিচালক) থাকা যাবে না। থাকতে হলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, একজনকে একাধিক প্রকল্পের পরিচালক করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব না দেয়ার জন্য। আগের তুলনায় কমে গেছে। তবে লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু আছে। যদি সঙ্গত কোন কারণ থাকে, তাহলে যার অর্ডার, তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এটার ব্যত্যয় ঘটানো যেতে পারে। প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প স্থানে না থাকাকে ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কিছু প্রকল্প আছে মাঠে থাকতে হয় না। বদ্ধ ঘরে থেকে করতে পারব। প্রকল্প ঢাকায় হলে ঢাকায় থাকতে হবে, চট্টগ্রামে হলে চট্টগ্রামেই থাকতে হবে। মূল কথা হলো, প্রকল্পের পরিচালকরা প্রকল্পকে ওন (ধারণ) করে প্রকল্পকে কাছে রাখবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন। আমি লক্ষ্য করেছি, সেটা মানা হয় না প্রায় ক্ষেত্রেই। এ বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করব বলেও জানান মন্ত্রী। কাজের গতি বাড়াতে হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গতি অর্জন করাই প্রধান লক্ষ্য। সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে দাবি এটাই ছিল। এ ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকলে তা করতে রাজি আছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির বিলম্বের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি হচ্ছে। কিন্তু দোষ বা চাপ পড়ছে আমাদের ওপর। তবে ঋণদাতাদের নিজস্ব কিছু আইন কানুন আছে, সেটি তারা মেনে চলে। আবার আমাদেরও কিছু আইন কানুন আছে আমরা সেগুলো মেনে চলি। ফলে এখানে অনেক সময় মিস ম্যাচিং হয়। এ সমন্বয়হীনতা কমিয়ে আনতে ইআরডিকে (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।