কাজিরবাজার ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫০ হাজার বাংলাদেশী সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এসব বাংলাদেশী দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরব আমিরাত সফর দেশটিতে আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মিউনিক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিয়ে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। ইতোমধ্যেই ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য আরব আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসা ও প্রকৌশলসহ বেশ কিছু খাতে বাংলাদেশী পেশাজীবীদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ভিসা উন্মুক্ত করেছে। ড. মোমেন জানান, গতবছর আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমিরাত সরকার ঘোষিত ৫০ হাজার বাংলাদেশী সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এসব বাংলাদেশী সেখানে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় এলএনজি, বিদ্যুত অন্যান্য প্ল্যান্ট স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মাতারবাড়িতে ৩০০ একর ভূমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশীদ আল মাকতুমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। আবুধাবির ক্রাউন পিন্স ও আরব আমিরাতের ডেপুটি সুপ্রীম কমান্ডার শেখ মুহম্মাদ বি যায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ যায়েদ বিন সুলতানের স্ত্রী শাইখা ফাতিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় ফিরবেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশ যে ১৮শ’ সৈনিক পাঠাচ্ছে, তারা সেখানে মাইন অপারেশন ও বাড়ি-ঘর, অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করবেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কোন প্রকার সামরিক চুক্তি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।