স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় শাহাবুদ্দিন মিয়া (৪০) নামে এক ফল ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কামরুল মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহাবুদ্দিন দক্ষিণ সুরমার কুচাই সুলতানপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র তিনি। মদীনা মার্কেট খাঁনবাজার শাহাবুদ্দিন ফল ভান্ডারের মালিক ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে তার বন্ধু রহমান মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ও তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহত শাহাবুদ্দিন মিয়ার ভাই সাজ্জাদ মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞতনামা আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাদি সাজ্জাদ মিয়া বলেন, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শাহাবুদ্দিন মিয়ার দোকান কর্মচারী মোস্তফা মিয়া জানান, শাহাবুদ্দিন ও রহমান মিয়া মদিনা মার্কেট এলাকায় কামরুল মিয়ার কলোনির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত বুধবার রাত ২ টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি ও তার সকল কর্মচারী বাসায় যান। পরে কর্মচারীরা একসাথে রাতের খাবার খেয়ে বের হন। তখন বাসায় শাহাবুদ্দিন মিয়া ও রহমান মিয়াকে রেখে তারা সুন্দরশাহের মাজারে ওরসে চলে আসেন। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর তিনি কলোনিতে এসে তাদের ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন তার দরজা খোলা এবং আওয়াজ হচ্ছে। এ সময় আওয়াজ শুনে তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন শাহাবুদ্দিন মিয়ার রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি রক্তাক্ত পাথর উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা ঘুমন্ত অবস্থায় শাহাবুদ্দিনকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্ত পালিয়ে গেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় নিহত শাহাবুদ্দিন মিয়ার ভাই সাজ্জাদ মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, রহমান মিয়ার খোঁজে পুলিশ তার দোকনে গিয়ে তাকে পায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, নিহতের মাথায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে তার বন্ধু রহমান মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার খোঁজে পুলিশ তার দোকানে গিয়েও সেখানে তাকে পায়নি। তাকে গ্রেফতাররের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।