ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
খুলনা টাইটান্সকে বিদায় করে প্লে-অফে খেলার দৌঁড়ে টিকে থাকল সিলেট সিক্সার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনাকে ৫৮ রানে হারায় অলক কাপালির দল। দশ ম্যাচে সিলেটের এটি চতুর্থ জয়। তাদের পয়েন্ট আট। লিগ পর্বে সিলেটের আর দুইটি ম্যাচ বাকি আছে। ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ও ১ ফেব্রুয়ারি চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হবে তারা। অন্যদিকে, দশ ম্যাচে খুলনার এটি অষ্টম হার। দুইটিতে জয় পেয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে অবস্থান করছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। লিগ পর্বে খুলনারও আর দুইটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ম্যাচ দুইটি এখন তাদের জন্য নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ১৯৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয় খুলনা টাইটান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আরিফুল হক। সিলেট সিক্সার্সের বোলারদের মধ্যে নাবিল সামাদ ৩টি, তাসকিন আহমেদ ২টি, সোহেল তানভীর ১টি, ইবাদত হোসেন ১টি, মোহাম্মদ নওয়াজ ১টি ও অলক কাপালি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। তাসকিনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন জুনায়েদ সিদ্দিক। ষষ্ঠ ওভারে আল-আমিনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সোহেল তানভীর। অষ্টম ওভারে কাপালির বলে নওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দশম ওভারে নাবিল সামাদের বলে অবিশ^াস্য এক ক্যাচ নিয়ে টেইলরকে সাজঘরের পথ দেখান জ্যাসন রয়।
সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১৩ বলে ১১ রান করে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। ১৩তম ওভারে ইবাদতের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে রয়ের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১৫তম ওভারে আফিফের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ওয়াইজকে ফেরান নওয়াজ। ১৬তম ওভারে দুই উইকেট নেন নাবিল সামাদ। ওভারের পঞ্চম বলে ইয়াসির শাহ এবং শেষ বলে আরিফুলকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১৮তম ওভারে রান আউট হন জুনায়েদ খান। ১৯তম ওভারে তাসকিনের বলে পুরানের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল।
এর আগে সিলেট সিক্সার্স টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৩৭ বলে পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ রান করেন আফিফ হোসেন। ২২ বলে তিনটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন লিটন দাস। ২৯ বলে চারটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান। ২১ বলে তিনটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নওয়াজ। খুলনা টাইটান্সের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৩টি ও জুনায়েদ খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই মেরে খেলতে থাকে। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৬১ রান তোলে তারা। দলীয় ৭১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে সিলেটের। অষ্টম ওভারে তাইজুলের বলে ডেভিড ওয়াইজের হাতে ধরা পড়েন লিটন। দশম ওভারে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে জ্যাসন রয়কে ফেরান তাইজুল। ১২তম ওভারে সেট ব্যাটসম্যান আফিফকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল। আল-আমিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ। দলীয় ১০৬ রানে জুনায়েদ খানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান। এরপর সাব্বির ও নওয়াজ জুটি বেঁধে ইনিংস শেষ করে আসেন। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান মোহাম্মদ নওয়াজ।