স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর সোবহানীঘাট থেকে ১১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত সোমবার সুগন্ধা পার্সেল সার্ভিস নামক দোকানে অভিযান চালিয়ে কালা ফারুক নামে পরিচিত এই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কালা ফারুক সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ছিলেন। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার কীন ব্রীজ এলাকা থেকে ইয়াবাসহ নোয়াখালীর রিপনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নগরীর মাছিমপুর মনিপুরীপাড়ার হাজী ফারুক আহমদের পুত্র ফেরদৌস আহমেদ বাবলু (৪৩), নগরীর সুবিদবাজার নূরানী আবাসিক এলাকার ৮১ নং বাসার মৃত জামশেদ আলীর পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ (৪৮) ও এয়ারপোর্ট থানার কলবাখানি ৪১ নং বাসার মৃত আব্দুল হকের পুত্র মো: ফজলুল হক (৪৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১শ’ ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং তারা জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করতো। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এবং এ কাজে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, ইয়াবাসহ রিপন আহমদ (৩১) নামে এক যুবককে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার সকালে নগরীর কীন ব্রিজের উত্তরপ্রান্ত থেকে ইয়াবা বিক্রিকালে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। আটক রিপন নগরীর মাছুদীঘিরপার এলাকায় রেজাউল করিমের কলোনীর ভাড়াটিয়া ও নোয়াখালী জেলার মাইজদী সদর এলাকার মো. সুলেমানের পুত্র। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. জমসেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা বিক্রিকালে তাকে আটক করা হয়েছে।