পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। রবিবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষণ মামলার একমাত্র অভিযুক্ত মুরগী ব্যবসায়ী রুশন মিয়া। কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দামের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল হামিদ ও আনিছুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে নির্যাতিত ছাত্রীর মা বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় (মামলা নং ০৪, তাং ০২/০১/২০১৯ইং) মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। একাধিকবার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সাথে কথা বলেন। তিনি জানান প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন বাকি হাসপাতালের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত রুশন মিয়া (৩২) পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। ভোটের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কামারছড়া রাবার বাগানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত রুশন মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উল্টর ভানুবিল গ্রামের মৃত কলিম মিয়ার ছেলে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আরিফুর রহমান জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মূল আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে ডাক্তারি রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃত আসামী রুশন মিয়াকে রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরিদ্র নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক ও আইনী সহায়তা প্রদান করা হবে।