ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
লং-অনে ট্রেন্ট বোল্টকে যখন ক্যাচটা তালুবন্দি করতে দেখলেন, একটা মুচকি হাসি দিলেন থিসারা পেরেরা। এ ছাড়া আর কিইবা করার ছিল তার? নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পড়া শ্রীলঙ্কাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে একাই করলেন ১৪০ রান। কিন্তু তার বিধ্বংসী ইনিংসটা জেতাতে পারেননি দলকে।
শনিবার বে ওভালের মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২১ রানে হেরে গেছে শ্রীলঙ্কা। কিউইদের ছুঁড়ে দেয়া ৩২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২ বল বাকি থাকতে ২৯৮ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল নিউজিল্যান্ড।
৩২০ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ১২৮ রানেই ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ওপেনার দানুশ গুনাথিলাকার ব্যাট থেকেই এসেছে ৭১ রান। আর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস করেছেন ২০। বাকি ব্যাটসম্যানদের আর কেউ ডাবল ফিগারে যেতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেন থিসারা। অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়ে ৭৫ রানের একটি জুটি গড়েন তিনি। এর মধ্যে মাত্র ২৮ বলে ৫৮ রান যোগ করেন থিসারা। দলীয় ২০৩ রানে মালিঙ্গা (১৭) ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর সান্ডাকানের সঙ্গে আরেকটি ৫১ রানের জুটি গড়েন থিসারা। যাতে ৪৩ রান থিসারার! মাত্র ৫৭ বলে অভিষেক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান নুয়ান প্রদীপকে নিয়ে ম্যাচটা প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু জয় থেকে ২২ রান দূরে থাকতে ম্যাট হেনরির বলে বোল্টের হাতে ধরা পড়েন তিনি। থেমে যায় শ্রীলঙ্কার জয়ের স্বপ্ন।
মাত্র ৭৪ বলে ১৩ ছক্কা আর ৮ চারে ১৪০ রান করেন থিসারা। ওয়ানডেতে এটি তার সর্বোচ্চ ইনিংস। অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও জিতেছেন তিনি।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৭ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন রস টেলর। ওপেনার কলিন মুনরোর ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। এছাড়া ৩৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জিমি নিশাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১৯/৭ (টেলর ৯০, মুনরো ৮৭, নিশাম ৬৪; নিকোলস ৩২; মালিঙ্গা ২/৪৫, প্রদীপ ১/৫৯)
শ্রীলঙ্কা: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৮/১০ (থিসারা ১৪০, গুনাথিলাকা ৭১, মেন্ডিস ২০; সোধি ৩/৫৫, হেনরি ২/৫২, নিশাম ২/৪৮)
ফল: নিউজিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।