ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
হ্যাঁ ভারতের জয় এখন সময়ের ব্যাপারই। তবে মেলবোর্নে বিরাট কোহলিদের উদযাপনটা আরও দীর্ঘায়িত করলেন প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৩ রান করে অবিচ্ছিন্ন থেকে অস্ট্রেলিয়ার কিছুটা হলেও মান বাঁচিয়েছেন তারা। কিন্তু ৩৯৯ রানের টার্গেটে খেলতে নামা অজিদের জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ১৪১ রান।
চতুর্থ দিন প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ক্ষুরধার বোলিং করেছেন ভারতীয় বোলাররা। পেস-স্পিনে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে তুলে নিয়েছেন একের পর এক উইকেট। দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করেছে অজিরা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করা প্যাট কামিন্স সর্বোচ্চ ৬১ রানে অপরাজিত আছেন।
এই টেস্টে দলের ক্রান্তিকালেও কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটাই না করে যাচ্ছেন কামিন্স। ক্যারিয়ার সেরা বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও হাল ধরেছেন এই ডানহাতি পেসার। উসমান খাজা (৩৩), শন মার্শ (৪৪) ও ট্রাভিস হেড (৩৪) কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও টিকতে পারেননি। অধিনায়ক টিম পেইনও (২৬) ছিলেন ব্যর্থ। তবে দিনের শেষ দিকে স্পিনার লায়নকে নিয়ে চীনের প্রাচীর গড়ার চেষ্টা করেন কামিন্স। দু’জনের ১৫ ওভারের মতো খেলে তোলেন ৪৩ রান।
কামিন্স ১০৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৬১ করে অপরাজিত। অপরপ্রান্তে উইকেটে লেগে থেকে ৩৮ বলে ৬ রান করে হার না মেনে মাঠ ছাড়েন লায়ন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামি। ইশান্ত শর্মা তুলে নেন একটি উইকেট।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারানো ভাতর চতুর্থ দিন ফের ব্যাটিংয়ে নামে। তবে কামিন্স তোপের কারণে ১০৬ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি। ঋশভ প্যান্টের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
ক্যারিয়ার সেরা বল করা কামিন্স ১১ ওভারে ৩টি মেডেনসহ মাত্র ২৭ রানে ৬টি উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে তিনি আরও ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। অন্য পেসার জস হ্যাজেলউড দুটি উইকেট পান।
এ ম্যাচ জিতলে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে লিড নেবে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত-৪৪৩/৭ ডিক্লে. ও ১০৬/৮ ডিক্লে.
অস্ট্রেলিয়া-১৫১ ও ২৫৮/৮* (৮৫ ওভার, টার্গেট ৩৯৯)