বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিভিন্ন স্থানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয় নিজ দলের স্বার্থে কাজ করে। ইসির কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরও তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে হামলাকারীদের সাফাই গেয়েছেন।’
নজরুল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করছি সিইসিকে প্রত্যাহার করে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার, ইসি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু তার কোনো নজির নেই, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, ঝিনাইদহ-৩ আসনের প্রার্থী ও তার স্ত্রীকে আটক করছে ডিবি। ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে পুলিশ কর্মকর্তারা গেছেন।’
নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড নেই বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
এ দিকে বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জোটের শরিক দলের এক নেতা নির্বাচন বর্জনের পরামর্শ দিয়েছে। তবে সার্বিক আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত জোটের এ বৈঠক চলে। এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম খান। অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ের মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এলডিপি, বিজেপির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।