কাজিরবাজার ডেস্ক :
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভোটে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানান ফ্রন্ট নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফ্রন্টের জরুরি বৈঠক নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। গুঞ্জন ছড়ায় বিএনপি ভোট থেকে সরে যেতে পারে।
তবে জোটের বৈঠক শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা ভোটে আছি থাকব। স্টিয়ারিং কমিটির কেউ ভোটে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নাই।’
আগামী রবিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকে সামনে রেখে গত দুই সপ্তাহ ধরেই চলছে সংঘাত-সংঘর্ষ। বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট দাবি করে আসছে, তারা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে সেখানে হামলা হচ্ছে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনে গিয়েও এসব অভিযোগ জানিয়ে আসে ঐক্যফন্ট। তবে সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে সভা বর্জন করে ঐক্যফ্রন্ট। এরপরই ডাকা হয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক।
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে ঢাকা টাইমসকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সিইসিকে কনডেম (নিন্দা) করছি তার অমার্জিত ব্যাবহারের জন্য এবং বৈঠকে সকলে তার পদত্যাগ চেয়েছি।’
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে আছি, শেষ পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। বৈঠকে একজনও নির্বাচনে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তোলে নাই, আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। যারা বলছে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে থাকবে না, তারা অকারণে এসব কথা বলছে।’
উচ্চ আদালতের রায়ের পর আওয়ামী লীগের আগের আমলে তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর ভোট বর্জন করে বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হলেও এবার দলটি ভোটে আসার ঘোষণা দেয় তফসিল ঘোষণার পর। আর এই ঘোষণার পেছনে ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। গত ১৩ অক্টোবর কামাল হোসেনের গণফোরাম, মাহমুদুর রহমান মান্নান নাগরিক ঐক্য এবং আ স ম আবদুর রবের জেএসডি নিয়ে এই জোট গঠন হয়। পরে যোগ দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকী।