মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) লড়াই হবে দ্বিমুখি। নির্বাচনে আ’লীগের বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান (নৌকা) ও বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জমিয়ত নেতা এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা (ধানের শীষ) এর লড়াই জমে উঠেছে। যদিও নির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন শাহজাহান চৌধুরী (গোলাপফুল), সৈয়দ শাহ মবশি^র আলী (হারিকেন), মুহিবুল হক (হাতপাখা) ও মাহফুজুর রহমান খালেদ (ছাতা)।
তবে নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজ, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে এগিয়ে রয়েছেন আ’লীগের বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জমিয়ত নেতা এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। মূল লড়াই হবে তাদের মধ্যে। নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে এ দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, তাদের সাথে যুক্তরাজ্য সহ বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি। তা দেখার অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
ভোটাররাও এবার অনেক সচেতন। বিশেষ করে নতুন ভোটরদের প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। এ ক্ষেত্রে নারী ভোটারদের ব্যাপক কদর বেড়েছে। যে কারণে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।
দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সুনামগঞ্জ-৩ আসন হচ্ছে একটি ভিআইপি আসন। এ আসন থেকে অতীতে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে গেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদ, হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী ও ফারুক রশীদ চৌধুরী। সর্বশেষ অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বর্তমান প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।
প্রার্থীদের সমর্থক ও ভোটাররা আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো জানান, আবারো যদি আ.লীগ সরকার গঠন করে এবং এ আসন থেকে যদি এমএ মান্নান আবারো নির্বাচিত হলে তিনি মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে যদি বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট সরকার গঠন করলে এবং এ আসন থেকে যদি শাহীনুর পাশা চৌধুরী নির্বাচিত হন তাহলে তিনিও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং সুনামগঞ্জ-৩ ভিআইপি আসন থেকে এবার নির্বাচিত এমপি মন্ত্রী হবেন এমন আশা নিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। তবে এবার অন্য নির্বাচনে মতো আমেজ না থাকলেও নিরব বিপ্লব ঘটবে বলে সাধারণ ভোটাররা জানান। এদিকে-নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।