বিয়ানীবাজারে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ, পুলিশি বাধা

35

সিলেট-৬ বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত সংসদ সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। রবিবার দুপুর ২টায় বিয়ানীবাজার পৌরশহরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের কলেজ রোড থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লবের নেতৃত্বে প্রায় ১ হাজার নেতকর্মী নিয়ে একটি মিছিল বের হয়ে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একটি পথসভায় মিলিত হলে বাধা দেয়া পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতকর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে।
এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব। তিনি এই আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরোধী বলয়ের লোক হিসেবে পরিচিত। তার অনুসারীরা এই আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়া অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানিয়ে আসছিল। মূলত: এই বিরোধের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। নেতকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে একসময় পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। পরে সভার স্থান পরিবর্তন করে শহরের সুপতলা রোড এলাকায় আবুল কাশেম পল্লবের বক্তব্যের মাধ্যমে সভা শেষ হয়। পল্লব তার বক্তব্যে বলেন, গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজারে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের শাসন আর চলবে না। অতীতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুসারীদের হামলা মামলায় আমার প্রায় আড়াইশ নেতাকর্মী আসামী হয়ে আদালতে আসা যাওয়া করছে। এ সময় উপস্থিত নেতকর্মীরা নাহিদের বিপক্ষে শ্লোগান দেন। সভা শেষে পল্লব জানান, বিজয়ের মাসে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করার প্রস্তুতি নেই। শনিবার এ কর্মসূচির প্রচারণাকালে পুলিশ আমাদের মাইক জব্দ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রবিবার দুপুরে আমরা পৌরশহরের দক্ষিণ বাজার মিছিল শুরু করি। মিছিলটি পৌরশহর প্রদক্ষিণকালে পুলিশ কয়েক দফা নির্বাচনী আচরণের দোহাই দিয়ে আমাদের বাধা দেয়। পরে আমরা সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের মাইকের সংযোগ ছিঁড়ে ফেলে এবং লাঠিচার্জ করে দলীয় কর্মীদের আহত করে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে আহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি উপজেলার লাইঝরা গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে সুমন আহমদ (২৩)। এদিকে মিছিলে আবুল কাশেম পল্লব ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা অজিত আচার্য প্রমুখ নেতৃত্ব দেন। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, অনুমতি ছাড়া আমরা তাদের মিছিল করতে নিষেধ করি। এ ধরণের মিছিল-শোডাউন নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্গন। বিজ্ঞপ্তি