ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
ঢাকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত স্কোর, সাদমান ইসলাম ৭৬, সৌম্য সরকার ১৯, মুমিনুল হক ২৯, মোহাম্মদ মিঠুন ২৯, সাকিব আল হাসান ৮০, মুশফিকুর রহিম ১৪, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩৬,লিটন দাস ৫৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ১৮, তাইজুল ইসলাম ২৬, নাঈম ইসলাম অপরাজিত ১২।
কী অসাধারণ! এগারোজনের ভেতরে ১০ জনেরই ডাবল ডিজিট। অন্যজন ছুঁয়েছেন জাদুকরী ট্রিপল ডিজিট।
স্বপ্লিল এই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৫০৮ এবং যার ওপরে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার পাঁচশ ছাড়াল বাংলাদেশের ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছরের পথচলায় এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহে থাকছে সপ্তম স্থানে।
সেই সংগ্রহের বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজদের ড্রেসিংরুমে পোড়োবাড়ির নিস্তব্ধতা নামালো সফরকারী উইন্ডিজ। সাকিব, মিরাজের ঘূর্নি জাদুতে ৭৫ রানে ৫ হারিয়ে বাজালো বিষাদের সুর। বেজে উঠেছে ধ্বংসের বাঁশির কর্কশ সুরও।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্যারিবিয়ান স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের কণ্ঠে ছিলো যার রেশ। ‘দীর্ঘ সময় ফিল্ডিং করে দল হিসেবে আমরা যেখানে থাকতে চেয়েছি এটা অবশ্যই আদর্শিক অবস্থান নয়। ভাল একটি অবস্থানে থাকতে চেয়েও কম সংগ্রহে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে পারিনি। দল হিসেবে আমরা কিছুটা হতাশ, কিন্তু আগামীকাল আমাদের ফিরে আসতে হবে এবং ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
সেটা না হলে তৃতীয় দিনের শুরুতে কিংবা লাঞ্চ বিরতির পরেও যদি স্বাগতিকরা বাকি ৫ উইকেট ফেলে দিতে পারে তখন ফলোঅন এবং ইনিংস হারের শঙ্কা উঁকি দেব সফরকারী শিবিরে। যেটা হবে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম।
ব্যাটিংয়ে নিজেদের এমন সাড়ে সর্বনাশ পরিস্থিতির জন্য মিরপুরের উইকেটকেই দায়ী করলেন এই ক্যারিবিয়ান স্পিনার। আবার সংকটত্তোরণের পথও বাতলে দিলেন। ‘আমার মনে হয় ছেলেরা অনেক বেশি টার্নের আশায় খেলেছে, কিন্তু সেগুলো (বল) সোজাসুজি এসেছে এবং এতেই গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো হারিয়েছি। যে ব্যাটসম্যানরা এখনও নামতে বাকি তাদের শুধু নিজেদের কৌশল প্রয়োগ করতে হবে এবং সকালে খুব দারুন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভাল সংগ্রহ এনে দিতে হবে।’