ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যাটিং অনুশীলনে নেমে বাঁহাতের আঙুলে চোট পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। যদিও বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন তার আঙুলে কোনো চিড় ধরা পড়েনি এবং চোট ততটা গুরুতর নয়। তাই তাকে একদিনের বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
তবে মুশফিক সতীর্থ মুমিনুল হক মনে করেন চোট গুরুতর হলেও এমনকি আঙুলটি ভেঙে গেলেও তিনি ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি খেলবেন।
বিষয়টি এমন নয় তিনি মজা করে বলেছেন। বরং তিনি সবই মুশফিকের নিবেদনের বিষয়ইটি সামনে এনেছেন। যে মানুষটি মাঠের কর্মকাণ্ডে এতটা সিরিয়াস তিনি আর যাই হোক কোনো বিপত্তির সঙ্গেই আপোষ করবেন না। এমনকী পূর্বে ইনজুরি নিয়েও তাকে মাঠে নামতে দেখা গেছে।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্টে ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা পান মুশফিক। দেড়দিন কিপিং না করে আর দুই দিন মাঠের বাইরে থাকার পর দলের প্রয়োজনে ফের দায়িত্ববোধের চরম নিদর্শন হিসেবে মাঠে নামেন মুশি।
পরবর্তীতে টিম সাউদির রাউন্ড দ্য উইকেটে করা ১৩৫ কিলোমিটার গতির বাউন্সার বসে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও কৌনিক ডেলিভারি গিয়ে আঘাত হানে তার মাথার পিছনের অংশে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।তাৎক্ষনিকভাবে দেখার পর ত্বরিৎ তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। পরে আবারও তিনি এই চোট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন।
‘আলহামদুলিল্লাহ! আমার মনে হয় মুশফিক ভাই ভালো আছে। আমি যতটুকু জানি ভেঙে গেলেও সে খেলবেন।’বুধবার (২৮ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের অনুশীলন শেষে মুমিনুল একথা বলেন।
সন্দেহ নেই, ব্যাট হাতে বছরটি দুর্দান্তই কাটিয়েছেন টাইগার টেস্ট স্টেশালিস্ট মুমিনুল হক। ৪ সেঞ্চুরি করে ভারত ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলির সমান্তরালের অবস্থান করছেন।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে আর একটি সেঞ্চুরি করতে পারলেই এক বছরে মোট সেঞ্চুরির হিসেবে কোহলি ছাড়িয়ে যাবেন। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এমন গর্বিত সমীকরণ সামনে থাকা সত্বেও তাকে উচ্ছ্বাসিত মনে হলো না।
‘আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না যে আমার আরেকটা সুযোগ আছে। আমি সবসময় চেস্টা করি টিমের জন্য যতটুক করা যায়, ব্যাটিংয়ের সময় যত সেশন খেলা যায়, আমি যেভাবে প্ল্যান করি, আমার যে রুটিন ওইভাবে চেস্টা করি। হইলে হইলো, না হইলে নাই।’