সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পুলিশ ভেরিফিকেশন বা এসবি রিপোর্ট না পাওয়াতে আটকে পড়েছে ৭৮৫ জনের পাসপোর্ট। এসব প্রবাসী দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। ভুক্তভোগী অবৈধ প্রবাসীরা কোনো উপায় না পেয়ে দুবাই কন্স্যুলেটে আসছে প্রতিদিন।
এ ব্যাপারে দুবাইতে নিয়োজিত বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্স্যাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদফতরের কাছে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে যাচ্ছি যাতে করে আটকে থাকা পাসপোর্টগুলো দ্রুত পাওয়া যায়।
যেসব জেলার প্রবাসীরা পুলিশ বা এসবি ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য আটকা পড়েছে- বাগেরহাট-২টি, বান্দরবান-১টি, বরগুনা-৩টি, বরিশাল-৯টি, ভোলা-১টি বগুড়া-১টি, ব্রাক্ষণবাডীয়া-২২টি, চাঁদপুর-৯টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৭টি, চট্টগ্রাম-১৭৩টি, চুয়াডাংগা-৮টি, কক্সবাজার-৬৪টি, কুমিল্লা-১৪৭টি, ঢাকা-২৬টি, দিনাজপুর-১টি।
এ ছাড়া ফরিদপুর-৬টি, ফেনী-১২, গাইবান্ধা-১, গাজীপুর-১৫, গোপালগঞ্জ-৩, হবিগঞ্জ-৪১, যশোর-৬, ঝালকাঠি-২, ঝিনাইদাহ-৩, জয়পুরহাট-১, খুলনা-২, কিশোরগঞ্জ-৬, কুষ্টিয়া-৩, লক্ষ্মীপুর-২৭, মাদারীপুর-১, মাগুরা-১, মানিকগঞ্জ-১৪, মেহেরপুর-১, মৌলভীবাজার-২৪, মুন্সীগঞ্জ-৫, ময়মনসিংহ-১৬, নাটোর-২, নোয়াখালী-১৫, পটুয়াখালী-৫, রাজশাহী-২, শরীয়তপুর-৬, শেরপুর-২, সিলেট-৪০, সুনামগঞ্জ-৮ এবং টাঙ্গাইলের-২টি বা ২ জন।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব পাসপোর্ট তারা হাতে না পেলে আমিরাত সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার (গত ১ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর) সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন এসব বাংলাদেশিরা। তাই এ সমস্যা সমাধানের জন্য ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, সাধারণ ক্ষমার এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১ হাজার প্রবাসী আউট পাশ নিয়ে দেশে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। যারা ছয় মাসের জব সিকার ভিসা পেয়েছেন তাদেরকে আমিরাতের লেবার মিনিস্ট্রি থেকে ভিসা দেয়া হচ্ছে। তারা যে কোনো কোম্পানিতে ভিসা লাগাতে পারবেন।
তবে নতুন নিয়োগ ও ট্রান্সফার ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান এখনো হয়নি। আর পাসপোর্ট এর রশিদ নম্বর যাদের এআরই ৪১৯৯৯৯ এর মধ্যে আছে তাদের সকলের পাসপোর্ট দেশ থেকে দূতাবাসে চলে এসেছে এবং তাদের সবাইকে বাংলাদেশ মিশন থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।