বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে একইদিনে একই সময়ে একই গ্রামে পাল্টাপাল্টি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষে অন্তত ২৫জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪/৫জন। তাদের প্রত্যেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের মেধ্য রয়েছেন সাইদুর রহমানের চাচাতো ভাই মখন মিয়া (৬০) ও প্রতিপক্ষ আনফর আলীর মা আরফুলা বিবি (৭৫), ছোটভাই আছকির আলী (৩২), বোনজামাই শুকুর আলীকে (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান (৫০) ও পাশের বাড়ির আনফর আলী (৪৮) পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
বাকি আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান মেম্বারের ছেলে পায়েল (২০), মেয়ে বড়তলা মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী তান্নি বেগম (১৮), চাচাতোভাই এমরান আহমদ (২৬), শফর আলী (৩৫), সিদ্দেক আলী (৫৫), বাচ্ছু মিয়া (৪৫), আব্দুল আহাদ (৫০), মুহিন আহমদ (১৮), চেরাগ আলী (৩৫), ভাতিজা সাইফুল আলম (৩৮), রাসেল আহমদ (২৮), রাহেল আহমদ (১৯), রুবেল আহমদ (১৮), জুবেল আহমদ (১৫), প্রতিপক্ষ আনফর আলীর স্ত্রী রুশনা বেগম (৩৫), ভাতিজি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ-শ্রেনীর ছাত্রী তাসলিমা বেগম (১৫), ভাতিজা জুবেদ আলী (২৫), বড়খুরমার রাজন মিয়া (৫০) ও আব্দুশ শহীদ (৪০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মঙ্গলবার গ্রামের পঞ্চায়েতকে সাথে নিয়ে বড়তলা দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে ওয়াজ মহাফিলের আয়োজন করেন সাইদুর রহমান। অন্যদিকে সাইদুরের পাশের বাড়ির আনোয়ার আলী তার বাড়িতে একই দিনে একই-সময়ে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। এ নিয়ে দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মাদ্রাসাছাত্রীসহ ২০জন আহত হন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দ বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং ফের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
