ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

34

স্টাফ রিপোর্টার :
ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এক বখাটের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে সিলেটের শিশু আদালত ও অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো: আমিরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- সুহেল মিয়া উরফে সুয়েল মিয়া (২০)। সে ওসমানীনগর থানার কুরুয়া (উত্তরপাড়া, চতলীবন্দ) গ্রামের তছির আলীর পুত্র। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
মামলার সংক্ষিপ্তি বিবরণে জানা গেছে, ওসমানীনগর কুরুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) বাড়ির পাশের বাড়ি লোক হওয়াতে আসামী সুহেল মিয়া রাস্তাঘাটে পেয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে প্রেম-ভালসাবার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর ছাত্রীর পরিবার বখাটে সুহেল মিয়ার পিতা-মাতার কাছে এ বিষয়টির জন্য বিচারপ্রার্থী হন। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার তাদের কাছে বিচার দিয়েও কোন লাভ হয়নি। এর জের ধরে ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে একা রেখে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন যার যার কাজে বের হন। এ সুযোগে স্কুল ছাত্রী রান্না করার সময় সকাল ৭ টার দিকে বখাটে সুহেল মিয়া পিছনের দরজা দিয়ে তার ঘরে ঢুকে। তখন বখাটে সুহেল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা মো: আলী আক্কাছ বাদি হয়ে একমাত্র সুহেল মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওসমানীনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৭ (২৫-০৯-১৬)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিলেটের পিবিআই মো: শরীফুল ইসলাম একমাত্র সুহেল মিয়া উরফে সুয়েল মিয়াকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারী আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং একই বছরের ২০ মার্চ থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী সুহেল মিয়া উরফে সুয়েল মিয়াকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট মো: নিজাম উদ্দিন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মো: জালাল উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।