নবীগঞ্জে শিক্ষকের অবহেলায় সমাপনী টেস্ট পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হল আট শিক্ষার্থী

46

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জের টেকইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের অবহেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী মডেল টেস্ট পরীক্ষার ডি আর তালিকা এবং পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আটজন শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকগণ ও শিক্ষার্থীরা। শনিবার সরেজমিন পরিদর্শনে আলাপকালে অভিভাবকরা এ প্রতিবেদকের নিকট এমন অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখে সারা দেশে এক যুগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ২০ সেপ্টম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছরের মে-জুন মাসেন মাঝামাঝি সময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের (ডিআর) তালিকা দেন টেকইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের। সেসময় পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৩১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পানিউমদা তেতুলিয়া পাড়ার আব্দুস শহিদের মেয়ে সাবিনা আক্তার,সৈয়দুর রহমানের মেয়ে নাজমিন আক্তার,কাদির মিয়ার মেয়ে সালমা আক্তার,টেকইয়া এলাকার শাহনূর মিয়ার মেয়ে পান্না আক্তার,কালাম মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার, মখলিছ মিয়ার মেয়ে রেজমিন আক্তার,আকবর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার ও রেবিকা আক্তার সহ ৮জন ছাত্রী শিক্ষার্থীর নাম বাদ দিয়ে ২৩ জনের তালিকা দেয়া হয়। সে সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি না জানিয়ে টেস্ট পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা থেকে জড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা ফি আদায় করেন সেই শিক্ষক। এই ফি কিছুদিন পর আবার ফেরত দিয়ে দেন। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া সাবিনা আক্তারের পিতা আব্দুস শহিদ অভিযোগ করে বলেন, সারা বছর আমার মেয়ে স্কুলে গেছে,পরীক্ষার জন্য ফিস ও নেয়া অইছে কিন্তু এখন আমার মেয়েরে স্যারে পরীক্ষা দিতে দিছইন না। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। এ ব্যাপারে টেকইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, ডিআর তালিকা থেকে কয়েকজনের নাম বাদ পড়ার বিষয়টি আমি শুনার পর পর প্রধান শিক্ষককে বলেছি তাদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য তিনি আমায় তখন বলেছিলেন ব্যবস্থা নিবেন, কিন্তু এখন শুনতেছি কয়েকজনে পরীক্ষা দিতে পারতেছে না ।
মোবাইল ফোনে টেকইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেকয়জন শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে তারা ১ম সাময়িক পরীক্ষায় ফেল করেছে সে জন্য তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।