কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইনটা কেবিনেটে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে, এরপরে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এক বছরেরও বেশি সময়ৃ। কিশোর-কিশোরীরা নিরাপদ সড়কের আন্দোলন করেছিল। তাদের স্যালুট, তারা আন্দোলনটা করেছিল বলেই এ আইনটা যেভাবেই হোক আলোর মুখ দেখেছে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ অধিবেশনেই আইনটি পাস হবে বলে আশা করেন কাদের।‘আমরা এই অধিবেশনেই আশা (আইন পাস) করছি। এই অধিবেশনই এ সরকারের শেষ অধিবেশন।’
তিনি বলেন, সংসদ অনেক দিন হয়তো গ্যাপ দিয়ে চলবে। এটাই শেষ অধিবেশন। এর পরে আর অধিবেশন হবে না। পার্লামেন্ট ভাঙবে না, কিন্তু কোনো অধিবেশনও হবে না। এমপিদের পাওয়ারও থাকবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে শাস্তির বিধান কম থাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সংযোজন-বিয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টে আমি (আইন) উপস্থাপন করবো। এরপর এটা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আবুল মকসুদ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের উপস্থিতিতে মন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আপনাদের কয়েকজনকে ডাকতে পারেন, পরামর্শ শুনতে পারেন। (আইনটি) পাস হওয়ার আগে এটা ফাইনাল- এটা মনে করার কারণ নেই। কিছু কিছু জায়গায় সংযোজন ও সংশোধনের সুযোগ এখনও রয়েছে। আপনারা সবাই পরামর্শ দেবেন। আমার মনে হয় এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।