ওসমানী হাসপাতালসহ নগরীতে জমজমাট বে-আইনী এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

61

সিলেট নগরীতে হাজারো এ্যা¤ু^লেন্স, এগুলো দিয়ে রোগী বহন-সহ বিভিন্ন জরুরী পরিবহন ব্যবসা করছে মালিক শ্রমিকরা। আদতে এগুলোর রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস, রোড পারমিট ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি এব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন কর্তৃপক্ষ। আসলে উদাসীন নয়, এগুলো থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা বখরা কামাই করে চলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সহ সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ঘিরে সিলেটে গড়ে উঠেছে জমজমাট এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস রোড পারমিট ছাড়াও এ্যাম্বুলেন্সের জন্য আলাদা অনুমতিপত্র থাকার কথা। কিন্তু খোজ নিয়ে দেখা গেছে রোগী বহনের সুবাদে মালিক ও শ্রমিকরা এগুলোর কোন ধারই ধারেন না। তবে চৌকস ট্রাফিক পুলিশ একেবারে বেখবর নয়। পুলিশ এগুলো থেকে নিয়মিত আদায় করে নিয়ে থাকে তাদের বখরা। আর এ কারনে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার লাখো-কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্র।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে ৫০ থেকে ৬০ জন মালিকের রয়েছে দেড়শতাধিক এ্যাম্বুলেন্স। এগুলো দিয়ে রোগী পরিবহণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে এগুলোর সিংহভাগের সঠিক কোন কাগজপত্র নেই। বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারা এবং বখরা দিয়েই তারা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের রমরমা ব্যবসা। রাস্তাঘাটে কোন দিনই কোন এ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র চেক করা হয় না। চেক করা হয় না রোগী বহনের সুবাদে। আর এ সুযোগে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন এ্যাম্বুলেন্সের মালিক ও পরিবহণ শ্রমিকরা।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও নগরীতে প্রায় অর্ধশত বেসরকারী হাসপাতাপল ও ক্লিনিক রয়েছে। এগুলোতেও এবং এগুলোর আশেপাশে গড়ে ওঠেছে বেআইনী এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রেপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডিসি তোফায়েল আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাগজপত্র, লাইসেন্স, পরমিট এগুলো দেখা বিআরটিএ’র ব্যাপার। আমরা রাস্তার উপর চলাচলকারী সব ধরনের গাড়ি সমানভাবে চেক করে থাকি। ধরা পড়লে মামলা দেয়া হয়। এ থেকে বেশী দায়িত্ব ট্রাফিকের নেই বলে জানান তিনি। (খবর সংবাদদাতার)