স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচনী সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ অর্ধশতাধিক সরকারী কর্মকর্তা অংশ নেয়ায় সিটি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার (২৫ জুলাই) আরিফুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করা হয়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ জুলাই শনিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানাস্থ একটি হোটেলের হল রুমে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এর নির্বাচনী সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সিলেট কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপ রেজিস্ট্রার, শাবিপ্রবির হিসাব পরিচালক,প্রধান প্রকৌশলীসহ অর্ধশতাধিক সরকারী কর্মকর্তারা নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ্যে সরকারী কর্মকর্তাদের নির্বাচনী সভায় উপস্থিতি সিটি কর্পোরেশন আচরনবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশী চাকরিবিধিও লঙ্ঘন করেছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণবিধির ২২ ধারার ১ নম্বর উপধারায় লেখা আছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’ ২২ ধারার ২ উপধারায় লেখা আছে, ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’ সভায় আসার পূর্বে উপাচার্য সহ সকল কর্মকর্তারা সরকারী গাড়ী ব্যাবহার করেছেন। এসব কর্মকান্ড স্থানীয় সরকার ও সিটি কর্পোরেশন আইন ভঙ্গ করার অপরাধ।
উপর্যুক্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান আরিফুল হক চৌধুরী।