হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের ওপর হামলাকারী দীপন আহমেদ মুন্না (২৫) আদালতে আত্মসসমর্পণ করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ সিনিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত(৫) এ সে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় আসামী পক্ষের আইনজীবী এডঃ আলমগীর মুন্নার জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মুন্না মদনপুর গ্রামের নুরুজ্জামান ফারুকীর পুত্র ও নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
উল্লখ্য, গত (১৬ জুলাই) সোমবার দুপুর ২টার দিকে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মেইন গেইটে একজন অর্নাস ২য় বর্ষে পড়–য়া এক ছাত্রী এর ছবি জোরপূর্বক তোলে দিপন আহমেদ মুন্না। তখন সেই ছাত্রী বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদকে অবগত করেন। সে সময় অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলার ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এতে অধ্যক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয় মুন্না। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১২টার দিকে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অনার্স ভবনের ২য় তলার অফিস কক্ষে বসে ছিলেন অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ। এ সময় মুন্না ও হুমায়ুন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অধ্যক্ষের উপর হামলা চালায়। সে সময় গোলাম হোসেন আজাদকে ছুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রক্তাক্ত করে। অধ্যক্ষকে বাঁচাতে অফিস সহকারী ফয়জুর রহমান এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। সে সময় তাদের ছাত্রী চৈতী আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে মুন্না ও হুমায়ুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা হুমায়ুনকে আটক করে এবং মুন্না মোটর সাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। মুন্নাকে গ্রেফতারের দাবিতে লাগাতার অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিল এ নবীগঞ্জের ছাত্রসমাজ। গত শনিবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রধান হামলাকারী মুন্নাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।