বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজনীতিতে এখন কদর বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। ফলে রাজনীতিতে এখন গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে দেশে গণতন্ত্রের পতন হয়েছে অনেক আগেই। সেই নির্বাসিত গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাম প্রগতিশীল শক্তির বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আজ রাজনীতিকে ব্যবহার করা হয় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠে।
তিনি গতকাল (২৯জুন) শুক্রবার নগরীর শহীদ সোলেমান হলে জেলা ঐক্য ন্যাপ আয়োজিত কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে রাজনীতি করা যায়না, সত্যকেও ঢেকে ফেলা যায়না। আজ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, এ থেকে দেশকে বাচাঁতে হবে। তিনি বলেন, এখন থেকেই সারাদেশে প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক সকল শক্তিকে এক হয়ে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক কমিটির প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে মূল ধারার রাজনীতির জানান দিতে হবে। আজ পুণ্যভূমি সিলেট থেকেই সেই রাজনৈতিক মিশন শুরু হলো। এই যাত্রায় তিনি দেশের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান অতিথি এ সময় সিলেটে প্রয়াত নেতা সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, মাটি ও মানুষের নেতা পীর হবিবুর রহমান, আব্দুল হক, তারা মিয়া সহ আরো অনেক ত্যাগী রাজনীতিবিদদের নাম গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
জেলা ঐক্যন্যাপ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মোনায়েম নেহেরু ও আলিজা হাসান। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক দেবব্রত রায় দিপন।
সভায় সিসিক নির্বাচনে ন্যাপ-সিপিবি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু জাফরের পক্ষে কাজ করার এবং ঐক্যন্যাপ মহানগর সাধারণ সম্পাদক কুমার গণেশ পালকে ১৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর ঐক্য ন্যাপের সভাপতি জামিল আহমদ, বাসদ-সিপিবি মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর, ওসমানী নগর উপজেলা ঐক্য ন্যাপের নির্মল চন্দ্র ধর রুনু, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পক্ষে মীর আনসার আলী, জেলা সহ-সভাপতি সুকেশ চন্দ্র দেব, মোহিনী রঞ্জন তালুকদার, ইকবাল হোসেন আনা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি