মামলাজট কমানো সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ – আইনমন্ত্রী

40

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট কমানো বর্তমানে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচারকদেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের জন্য আয়োজিত ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। চারমাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বিন্দুমাত্র লোভ বা অসততার কারণে যেন বিচারপ্রার্থীদের মনে হতাশার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিছক গতানুগতিক বা দায়সারাভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
বিচারকদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, আপনাদের বিচারক হয়ে ওঠার পেছনে দেশের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। আর আপনাদের কর্মক্ষেত্রই হলো বিচারপ্রার্থী ওই সব সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ বিচার বিভাগকে কোন দৃষ্টিতে দেখছে কিংবা তাদের চোখে ন্যায়বিচারের ধারণাই বা কেমন সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।
‘আপনাদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে, পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করেই বর্তমান সরকার আপনাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যৎ কর্মজীবন যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। সার্ভিস ডেলিভারির ক্ষেত্রে সততার ভিত্তিতে চারিত্রিক দৃঢ়তা বা স্বচ্ছতাই হবে বিচারকদের কর্মজীবনের মূলমন্ত্র।’
মন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কেবল আইনের শাসনই নয়, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও জুডিশিয়ারি বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষে বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ আগে দুই মাসের হলেও এবার তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস করা হয়েছে এবং আগামীতে এটি ছয় মাসে উন্নীত করা হবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।