স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল বিশ্বকাপ এলে যে দলগুলোর নাম সামনে আসে তার মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই দলই সবেচেয়ে বেশিবার শিরোপা জিতেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচবার শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ছিল ব্রাজিল। দলটি শুরু থেকে ভালো করলেও সেমিফাইনালে গিয়ে হতাশাজনকভাবে বিদায় নিয়েছিল। সেমিফাইনাল ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরেছিল তারা। ব্রাজিলের এমন হারের পর কেঁদে ভাসিয়েছিলেন ব্রাজিল সমর্থকরা।
সামনে রাশিয়া বিশ্বকাপ। নতুন আসর, নতুন স্বপ্ন। সেভাবেই কোচ তিতে দল সাজিয়েছেন। যদিও নেইমারের ইনজুরি নিয়ে কিছুটা চিন্তা রয়েছে। তিনি এখনও শতভাগ ফিট নন। তারপরও তারা স্বপ্ন দেখছে ভালো কিছু করার। তাহলে আসনু, বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল কেমন হলো, টুর্নামেন্টে তারা কেমন করতে পারে এসব সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড : অ্যালিসন, এডারসন, ক্যাসিও; মার্সেলো, ড্যানিলো, ফিলিপে লুইজ, ফ্যাগনার, মারকুইনহস, থিয়াগো সিলভা, মিরান্ডা, পেদ্রো গেরোমেল; উইলিয়ান, ফার্নান্দিনহো, পাউলিনহো, ক্যাসেমিরো, ফিলিপে কুটিনহো, রেনাতো অগাস্তো, ফ্রেড; নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জিসাস, রবার্তো ফিরমিনো, ডগলাস কস্তা, টেইসন।
কোচ : ২০১৬ সালের জুনে তিতেকে কোচ হিসাবে নিয়োগ দেয় ব্রাজিল। তার পুরো নাম অ্যাডেনর লিওনার্দো বাচ্চি। তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী। গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের এমন হতাশাজনক বিদায়ের পর দলটিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন তিতে। তার অধীনে বাছাইপর্বে একের পর জয় তুলে নিয়ে ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল।
দলটির সেরা তারকা খেলোয়াড় : নিঃসন্দেহে বর্তমানে ব্রাজিল দলের সেরা তারকা খেলোয়াড় হচ্ছেন অধিনায়ক নেইমার।
দলটির শক্তি : আক্রমণভাগে নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জিসাস ও ফিলিপে কুটিনহোই ব্রাজিল দলের বড় শক্তি। তিনজন যদি এক সঙ্গে জ্বলে উঠেন তাহলে দলটি বিশ্বকাপে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
দলটির দুর্বল জায়গা : রক্ষণভাগে দলটির কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। ফুল-ব্যাক মার্সেলো দলের জন্য শক্তি। কিন্তু তার সঙ্গে অন্যরা কেমন করেন এটিই দেখার বিষয়।
ব্রাজিলের গ্র“প : বিশ্বকাপে ‘ই’ গ্র“পে লড়াই করবে ব্রাজিল। এই গ্র“পে আরো আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও কোস্টারিকা।
গ্র“প পর্বে ব্রাজিলের সময়সূচি : ১৭ জুন, ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড। ২২ জুন, ব্রাজিল-কোস্টারিকা, ২৭ জুন, ব্রাজিল-সার্বিয়া।
ফ্যানদের প্রিয় শ্লোগান : ‘আমি ব্রাজিলিয়ান, অনেক গর্ব, অনেক ভালোবাসা।’
অন-ফিল্ড প্রেডিকশন : ফাইনাল
অফ-ফিল্ড প্রেডিকশন : কান্না। আশা করা হচ্ছে এবার ব্রাজিল ভক্তদের কান্না হবে আনন্দের কান্না।