কাজিরবাজার ডেস্ক :
দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে করা আবেদনের ওপর শুনানি হবে আগামী রবিবার।
মঙ্গলবার আইনজীবীরা মামলা দুটিতে খালেদার জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড পেয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি প্রধানের মুক্তিতে বাধা পাঁচ মামলার মধ্যে এই দুই মামলায় জামিন চেয়ে দুপুরে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দুটি করা হয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে বিএনপির আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লায় বাসে পেট্রল বোমা মেরে আটজনকে হত্যার দায়ে করা দুটি মামলায় ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলের করা মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ।
যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে করা দুটি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। আগামী ৫ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে অপর মামলাটি করেছিলেন।
অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলাটি করেছিলেন এবি সিদ্দিকী। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।