সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সোনাবান বেগমের দাবি ॥ হত্যা মামলায় স্বামী শামীম ও দেবরের কোন সম্পৃক্ততা নেই

57

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে শিব্বির আহমদ হত্যার ঘটনায় একই গ্রামের শামীম আহমদ ও তার ভাই সেলিম এবং তোফায়েল আহমদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন শামীম আহমদের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা সোনাবান বেগম। তিনি এও বলেন, ঘটনার দিন তার স্বামী এবং দেবরেরা যার যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তারা ঘটনার সময়ে উপস্থিত না থাকলেও একটি চক্র প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে হত্যা মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাবান বেগম বলেন, ‘গত ২১ এপ্রিল নোয়াপাড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের কারণে চাচাতো ভাই বদরুল, জামাল গংদের সাথে সংঘর্ষে শিব্বির নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক শিব্বিরের চাচা আমিনুল ইসলাম ও আইয়ুবুর রহমানের স্ত্রী আমিরুন নেছাকে আটক করে। ঘটনার পরদিন সংবাদপত্রে ‘গোয়াইনঘাটে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ, চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভাই খুন’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। সংবাদে ঘটনার সূত্রপাত এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের নামও প্রকাশিত হয়। যে নামগুলো প্রকাশিত হয়েছে সেখানে আমার স্বামী শামীম আহমদ, দেবর সেলিম আহমদ ও তোফায়েল আহমদের নাম ছিল না। অথচ পরবর্তী দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ঘটনার দিন তার স্বামী শামীম আহমদ শহরতলীর পীরের বাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই ছিলেন। এছাড়া দেবর সেলিম আহমদ ও তোফায়েল আহমদ নগরীর রাগীব রাবেয়া হাসপাতাল সংলগ্ন তাদের ফার্মেসীতে ছিলেন। যার স্বপক্ষে প্রমাণাদিও রয়েছে। তারপরও শিব্বির হত্যা মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে দেখে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি তারা।
তার স্বামী এবং দেবরদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় আসামী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলার বাদি নিহত শিব্বিরের ভাই তারেকের নিকটাতী¡য় ভুয়া চিকিৎসক আলী আমজদ ওরফে আলী এবং স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবুলের সাথে তার স্বামীর বিবাদ চলছিল। এ বিরোধ থেকেই তারেক আহমদকে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে তার স্বামী ও দেবরদের হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি তার স্বামী শামীম আহমদ ও দেবর তোফায়েল ও সেলিম আহমদকে এ হত্যা মামলা থেকে মুক্তি প্রদান করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি ভুয়া ডাক্তার আলী গংদের শাস্তির দাবী জানান।