দক্ষিণ সুরমায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আহত বন্ধু মারা গেছে

11

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আহত বন্ধু টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাহিম আহমদ (২১) ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছে। নিহত ফাহিম নগরীর দক্ষিণ সুরমা খোজারখলা বি-ব্লকের ২১৪ নং বাসার ইছহাক আলীর পুত্র। গতকাল শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাহিম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল।
তিনি জানান, এর আগে ফাহিম শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে ২/৩দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আবার তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শনিবার বিকেলে সে মারা যায়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপু মিয়া (২০) নামের তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপু গোলাপগঞ্জ থানার খালেরপাড় গ্রামের লিটন আহমদের পুত্র। বর্তমানে সে দক্ষিণ সুরমা বরইকান্দি ৩ নং রোডের ফারুক মিয়ার ভাড়াটিয়া ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই রায়হান জানান, ফাহিম আহমদ, আকরাম ও অপু তারা তিন জনই বন্ধু ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তারা মারামারিতে জড়ায়। এক পর্যায়ে তারা ৩ জনই ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়। এর মধ্যে ফাহিমের অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে ২/৩দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আবার তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই গতকাল শনিবার বিকেলে সে মারা যায়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত ভিকটিম আকরামের পিতা আনছার মিয়া বাদি হয়ে অপুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় (৪-৬/৫/১৮) নং একটি মারামারির মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, এ মামলার প্রেক্ষিতে অপুকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৮ মে সিলেটের মুখ্য হাকিম আদালতে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত অপু ফৌজদারী কায্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এখন আহত ভিকটিম ফাহিম আহমদ মারা যাওয়ার বিষয়টি মামলায় ৩০২ ধারাটি সংযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ মে শনিবার বিকেলে কথা কাটাকাটি হয় দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমদ, আকরাম হোসেন ও অপুর মধ্যে। সন্ধ্যায় স্থানীয় মারকাজ মসজিদের সামনে তারা তিনজন মারামারিতে জড়ায়। এক পর্যায়ে আকরাম ও অপু মিলে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ফাহিমের হাতে থাকা ছুরিতে তারাও আহত হয়। পরে পথচারী লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় ফাহিমকে তারা উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে ফাহিমের ফুঁসফুঁস ছিদ্র হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফাহিমকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় পরে চিকিৎকরা তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। অন্যদিকে অপু ও আকরাম ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা ছিলেন। বর্তমানে আকরাম চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে সুস্থ আর অপু বর্তমানে জেলে রয়েছে।